Uncategorized

আথ্রাইটিস কি? আথ্রাইটিসের চিকিৎসা

আথ্রাইটিস হলো অস্থি বা জোড়ার রোগ বা সমস্যা। আমাদের শরীরে বহু জয়েন্ট বা জোড়া রয়েছে এসব জয়েন্ট বা জোড়ায় যে ব্যাথা বা প্রদাহ হয় তাকে আমরা আথ্রাইটিস বা অনেকে বাতের ব্যাথা বলে থাকি।
আথ্রাইটিস এর কারণে জোড়ায় জোড়ায় ব্যাথা, গিড়ে ফুলে যাওয়া, নড়াচড়া করতে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করা। আথ্রাইটিস এর কারনে এক সময় সমস্ত শরীর অবসন্ন হয়ে পড়ে। বর্তমানে বয়স্কদের আথ্রাইটিস একটা সাধারণ রোগে পরিনত হয়েছে।
একশ প্রকারের বেশি ধরনের আথ্রাইটিস দেখা যাচ্ছে তবে এরমধ্যে খুবই কমন হলো অস্টিও আথ্রাইটিস,  রিউমাটায়েড আথ্রাইটিস, সোরিয়াটিক আথ্রাইটিস, সেপটিক আথ্রাইটিস, এনকালজিং স্পন্ডালাইসিস, জুভেনাইল আথ্রাইটিস, রি-একটিভ আথ্রাইটিস, স্কে-রোডারমা আথ্রাইটিস, গাউট, এসএলই ইত্যাদি।
অস্টিও আথ্রাইটিস এর লক্ষণঃ
১) প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করলে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়।
২) ধীরে ধীরে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয় ও অস্থিসন্ধি ফুলে যায়
৩) দীর্ঘ সময় বসে থাকলে ব্যথা অনুভব হয়, অন্ধিসন্ধিতে কড়মড় শব্দ হয়।
৪) কোমর সোজা করতে কষ্ট হয় ও তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়
৫) হাতের আঙ্গুলগুলোতে জড়তা দেখা দেয়।

রিউমাটায়েড আথ্রাইটিস এর লক্ষণঃ
১) প্রথমে হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হয়, পরবর্তীতে শরীরের প্রত্যেকটি জয়েন্টে সমস্যা দেখা দেয়।
২) শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট বা গীড়াগুলো ফুলে যায়
৩) সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় ব্যথা বেশি হয় আস্তে আস্তে ব্যথা কমে যায়
৪) শরীরে জ্বর জ্বর অনুভূব হয়
৫) রিউম্যাটিক নডিউল দেখা যায়।

আথ্রাইটিসের নিরাময়ঃ
১) পাঁয়ে হেঁটে যতবেশি সম্ভব যাতায়াত করা, সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে উঠা
২) মৃদু ও মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করা
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা
৪) ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, প্রচুর পানি খাওয়া
৫) ধুমপান, মদ ও অন্যান্য বদ অভ্যাস ত্যাগ করা
৬) মাংসের চেয়ে মাছ ও সবজি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া
৭) চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পরিহার করতে হবে
৮) আথ্রাইটিসের জন্য ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ বিশেষ উপকারী

আথ্রাইটিসের চিকিৎসাঃ
আথ্রাইটিস হওয়ার পর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ খুবই জরুরী, আথ্রাইটিসের প্রকারভেদ অনুযায়ী চিকিৎসা জরুরী। সরাসরি ঔষধ সেবনের চেয়ে থেরাপী প্রয়োগ বেশি কার্যকর।

Related posts

Leave a Comment