ওজন কমানোর কার্যকরী টিপস Weight Loss
ওজন কমানোর কিছু টিপস
শরীরের ওজন নিয়ে অনেকেরই দুঃচিন্তা রয়েছে। বিশেষ করে মেদভুঁড়ি বেড়ে গেছে ওটার যন্ত্রণা পোহাতে হয় সবাইকে। শুধুমাত্র অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ওজন বা মেদ বাড়ে না বরং খাওয়ার অনিয়ম ও ডাইজেশনের কারণে ওজন বাড়ে। কিছু লোক অনেক খায় কিন্তু ওজন বাড়ে না আবার কিছু লোক কম খায় কিন্তু ওজন বেশি।
একসাথে না খেয়ে বারবার খানঃ আমরা সাধারণত তিনবেলা খাবার খাই এবং যতটা সম্ভব পেটভরে রসনা তৃপ্তি নিয়ে খাই। একসাথে না খেয়ে কিছু সময় পরপর খাওয়ারের অভ্যাস করতে হবে, কম কম করে অনেকবার খেতে হবে। মেটাবলিজম হার বাড়ানোর ভাল উপায় হচ্ছে একসাথে না খেয়ে বারবার খাওয়া। এতে ডাইজেশন সিস্টেমে চাপ পড়ে কম, হজম হয় ভাল।
খিদে পেলে খাওয়ার অভ্যেসঃ খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কিছু নিয়ম সারাজীবন মেনে চলি তা হলো পরিবারের সবাই একসাথে বসে খাওয়া এটা চমৎকার বিষয় কিন্তু একই সাথে আপনার খিদে পেয়েছে কিনা তাও দেখার বিষয়। সবসময় একই নিয়মে খেলে খিদে পায় কিন্তু কোন কারনে সকালে কম খেলে বেলা বাড়ার সাথে সাথে খিদে লাগে তখন যদি কিছু খেয়ে থাকেন তাহলে দুপুরের খাবারের সময় খিদে নাও লাগতে পারে এক্ষেত্রে এক দেরী করে খান যখন খিদে পাবে।
পানি পানের পরিমাণ ও সময়ঃ একসাথে অনেক পানি পান না করে বারবার পানি পানের অভ্যেস করুন। বেশি পানি বেশি ঘাম তৈরীতে সহায়ক, যতবেশি ঘাম হবে ততবেশি শরীরের মেদ কমবে। তবে খাওয়া সাথে সাথে না খেয়ে কিছু সময় পরে পানি পান করবেন।
সুষম খাবার বেশি খাবেনঃ আমরা বাংলাদেশীরা ভোজন বিলাসী হলেও আমাদের সুষম খাবার তালিকা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা উচিত। শুধু মুখরোচক খাবার বিপদ ডেকে আনে। মাংস জাতীয় খাবার থেকে মাছ ও সবজি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।
তরকারীতে অধিক ঝোঁল দিনঃ অধিক ঝোঁল মিশ্রিত তরকারী খাবেন, শুকনা খাবার যত সম্ভব এড়িয়ে চলুন। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা অধিক ঝোঁল খাবেন তরকারীর সাথে।
রাতের খাবার যত কম খাওয়া যায়ঃ আমাদের মধ্যে রাতের খাবার বেশি খাওয়ার প্রবণতা বেশি কারন সারাদিন বাইরে থেকে রাতে সময় করে ঘরে বানানো খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার অনেকটা পারিবারিক বৈশিষ্ট্য। এটা স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি। রাতের খাবার অবশ্যই রাত ৯টার পূর্বে খাওয়ার অভ্যেস করতে হবে।
শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করুনঃ শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ বেছে নিতে হবে যদি এমন কাজ পাওয়া না যায় তবে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২/৪ কিলোমিটার হাঁটার অভ্যেস করতে হবে। যতবেশি হাঁটবেন সাময়িক দূর্বলতা আসলেও দীর্ঘসময় রিফ্রেসড অনুভব হবে।
পরিমিত ও নিয়মিতঃ পরিমিত ও নিয়মিত এই দুটো বিষয়কে প্রাধ্যন্য দিতে হবে। যেমন পরিমিতি আহার, নিয়মিত ব্যায়াম, পরিমিত ঘুম, নিয়মিত হাঁটা, নিয়মিত পরিশ্রম করতে হবে। ভাল স্বাস্থ্য বা পেটভূড়ি কমানোর জন্য নিয়মানুবর্তিতার কোন বিকল্প নেই।
ওজন কমানোর কিছু টিপস আরো জানতে পড়ুন এখানে
নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করুন সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর শরীরের অধিকারী হোন।
For More Blog Post Click Here